এক বেদুইনের দোয়ায় জান্নাত লাভের সৌভাগ্য!

আল্লাহ তা’আলা তার কিছু প্রিয় বান্দাকে প্রকাশে নিয়ে আসেন যেন মানুষ জানতে পারে, সকল কল্যাণ একমাত্র রাসূল সা. এর উম্মতের মধ্যেই রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক যুবকের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এ ঘটনার বড় শিক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, যে আল্লাহর সাথে প্রতিশ্রুতি পূরণ করে আল্লাহই তার উত্তম সঙ্গী।

ওই যুবকের বাবা মারা গেল, কিন্তু তার জানাজায় কেউ এলো না। যুবক তার বাবার লাশ মরুভূমিতে নিয়ে আসে দাফনের জন্য। মরুভূমিতে যাওয়ার পর ছাগল চড়ানো এক বেদুইন এ দৃশ্য দেখতে পায়।

বেদুইন যুবকের কাছে এসে বলল, লোকজন কোথায়? কেন তুমি একা একা তোমার বাবার লাশ দাফন করছো? যুবক বেদুইনের সামনে নিজ পিতার অসম্মানি করতে চায়নি না। শুধু বলল, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা….

বেদুইন বুঝতে পারে এবং হাত বাড়িয়ে দেয় দাফনকার্যে শরিক হতে। তারপর আকাশে দুই হাত তুলে দুআ করে যুবককে রেখে ছাগল চড়াতে চলে যায়।

ওই রাতে যুবক স্বপ্নে তার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদাঊসে হাস্যেজ্জ্বল এবং সুসংবাদপ্রাপ্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তখন যুবক আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করে, কীভাবে আপনি এই মর্যাদা পেলেন? পিতা বলল, ওই বেদুইনের দুআর বরকতে।

পরদিন যুবক হন্ন হয়ে ওই বেদুইনকে খুঁজতে থাকে। খুঁজতে খুঁজতে মরুভূমিতে বেদুইনের সন্ধ্যান পায়। তার জামা ধরে যুবক বলতে লাগল, আপনি কবরে দাঁড়িয়ে আমার বাবার জন্য কী দুআ করেছিলেন?

তখন বেদুইন বলল, বৎস! আমি আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলাম একজন দুর্বল বান্দার ন্যায় এবং বলেছিলাম, হে আল্লাহ! আমি মহানুভব, যখন আমার কাছে মেহমান এসেছিল তখন আমি তার কদর করেছি। এখন তোমার মেহমান আর তুমি সবচেয়ে বড় মহানুভব।

অতএব না সন্তান, না সম্পদ না অনেক নেক আমল, শুধু আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি পূরণ করার কারণে আল্লাহ তার দুআ কবুল করেছিলেন।

ইমাম হাসান বাসরী রহ. বলেন, তোমরা সৎসঙ্গীদের সাথে চল, কেননা প্রতিশ্রুতিশীল বন্ধু উজ্জ্বল প্রদীপ। দুনিয়াতে অন্ধকারে পড়লে তার নুর দেখতে পাবে।